”বিজেপির ইশতেহারে বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর ছাড়া কিছুই নেই”

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাহুল-মোদি
রাহুল-মোদি। ফাইল ছবি

এক টুইট বার্তায় রাহুল বলেন, ‘এই ইশতেহারে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর ছাড়া কিছুই নেই। নাম উল্লেখ না করলেও এই কটাক্ষ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশেই তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

বিজেপির সদ্য প্রকাশিত ইশতেহার আগ্রাসী এবং এতে দূরদর্শিতার কোনও ছাপ নেই বলে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই ইশতেহারে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর ছাড়া কিছুই নেই। নাম উল্লেখ না করলেও এই কটাক্ষ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশেই তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।


গতকাল সোমবার সকালেই টুইট করে বিজেপির ইশতেহার নিয়ে নিজের বক্তব্য জানান রাহুল। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলোচনার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের ইশতেহার। লাখ লাখ মানুষের কথা আছে এই শক্তিশালী ইশতেহারে। সেখানে বিজেপির ইশতেহার বানানো হয়েছে বন্ধ ঘরে। যা আসলে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের একার কথা

সোমবার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঠান্ডা ঘরে বসে থেকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এরপরেই কংগ্রেস শিবির থেকে মোদির এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন রাহুল।

universel cardiac hospital

গতকাল সোমবার সকালেই টুইট করে বিজেপির ইশতেহার নিয়ে নিজের বক্তব্য জানান রাহুল। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলোচনার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের ইশতেহার। লাখ লাখ মানুষের কথা আছে এই শক্তিশালী ইশতেহারে। সেখানে বিজেপির ইশতেহার বানানো হয়েছে বন্ধ ঘরে। যা আসলে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের একার কথা। একই সঙ্গে এই ইশতেহার আগ্রাসী এবং তাতে দূরদর্শিতার চিহ্নমাত্র নেই।

রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে নিজেদের ইশতেহার সামনে আনে বিজেপি। সেখানে দেশের নিরাপত্তা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি কৃষকদের কল্যাণে বিশেষ প্রকল্প এবং দেশের পরিকাঠামোতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় এলে মধ্যবিত্তদের জন্য পরের পাঁচ বছরে কর ছাড়ের কথাও বলেছে বিজেপি। একই সঙ্গে নিজেদের পুরনো দাবি অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও রাখা হয়েছে এই ইশতেহার।

নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, জাতীয়তাবোধই আমাদের অনুপ্রেরণা, গরিবদের শক্তিশালী করাই আমাদের দর্শন এবং ভালভাবে সরকার চালানোই আমাদের লক্ষ্য।

অন্যদিকে গত সপ্তাহেই নিজেদের ইশতেহার সামনে এনেছে কংগ্রেস। ওই ইশতেহার অনুযায়ী ‘ন্যায়’ প্রকল্পই হলো তাদের তুরুপের তাস। ভারতের ২০ শতাংশ দরিদ্র মানুষকে বছরে ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। পাশাপাশি ছত্তীশগঢ়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের ধারা অনুসরণ করে কৃষকদের ঋণ মওকুফ করার কথাও বলা হয়েছে কংগ্রেসের ইশতেহারে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে