ববিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধের ডাক

ডেস্ক রিপোর্ট

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবারও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বরিশাল, ৯ এপ্রিল।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবারও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বরিশাল, ৯ এপ্রিল। ছবি- সংগৃহিত

‘আমরা আশা করেছিলাম, সিন্ডিকেটের সভায় উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ঘোষণা আসবে। কিন্তু সেটা না পাওয়ায় রাতে আমরা বৈঠক করেছি। আমরা আজ বেলা ১১টা থেকে কাফনের কাপড় পরে কুয়াকাটা-বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ ও আমরণ অনশন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়াকাটা-বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজোঁ কার্যালয়ে সিন্ডিকেটের সভা সিদ্ধান্ত ছাড়া শেষ হওয়ার পর রাতে বৈঠক করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।


ইমামুল হক গতকাল বলেন, ‘এটা বাড়াবাড়ি। এটা এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়। কতিপয় শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অশুভ চক্রের আর্থিক ও নানা ধরনের প্ররোচনায় এই আন্দোলন করছে।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, সিন্ডিকেটের সভায় উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ঘোষণা আসবে। কিন্তু সেটা না পাওয়ায় রাতে আমরা বৈঠক করেছি। আমরা আজ বেলা ১১টা থেকে কাফনের কাপড় পরে কুয়াকাটা-বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ ও আমরণ অনশন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’

universel cardiac hospital

গত ২৬ মার্চ এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করলে ২৭ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৯ মার্চ উপাচার্য এস এম ইমামুল হক তাঁর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত সোমবার তাঁদের বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা গতকাল বেলা একটায় শেষ হয়। এর মধ্যে উপাচার্যের পক্ষ থেকে পদত্যাগের বা ছুটিতে যাওয়ার লিখিত ঘোষণা না আসায় শিক্ষার্থীরা গতকাল আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেন। আগের দিনও তাঁরা দুই ঘণ্টার জন্য মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলেছে, বেলা একটায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সড়কের দুই পাশে শত শত বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকা পড়ে। বেলা দুইটায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

পদত্যাগের দাবির বিষয়ে উপাচার্য ইমামুল হক গতকাল বলেন, ‘এটা বাড়াবাড়ি। এটা এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়। কতিপয় শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অশুভ চক্রের আর্থিক ও নানা ধরনের প্ররোচনায় এই আন্দোলন করছে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে