বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর তার সঙ্গে থাকা বিড়ালকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টুইটার ব্যবহারকারী।
সাত বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সেখানে এক প্রকার বন্দিজীবন কাটাতেন অ্যাসাঞ্জ। তাই তার নিঃসঙ্গতা কাটাতে তার সন্তানরা তাকে একটি বিড়াল উপহার দিয়েছিলেন। বিড়ালটি ‘অ্যাম্বাসি ক্যাট’ নামে পরিচিত ইন্টারনেট দুনিয়ায়।
বৃহস্পতিবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার করার পর তার সঙ্গী বিড়ালটি একা হয়ে পড়ে। এখন তার বিড়ালটির ভাগ্যে কী ঘটবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।
অনেকে বিড়ালটির দায়িত্ব নিতে চেয়ে টুইটারে টুইট করেছেন।
অ্যানি হ্যাক নামে একজন লিখেছেন, অ্যাসাঞ্জের বিড়ালটিকে অনেক ভালোবাসি। দয়া করে বিড়ালটির কেউ দায়িত্ব নিন। তার জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত। বিড়ালটিকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
সারা নামে আরেকজন লিখেছেন, বিড়ালটির ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা আমরা কেউ জানি না।
ডাইস নামে অপরজন লিখেছেন, অ্যাসাঞ্জের বিড়ালটি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে উইকিলিকসের মাধ্যমে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন।
এসব নথি যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়। তবে এসব নথি প্রকাশের পরপরই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার এড়াতে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি। ২০১২ সালের জুন থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি। সেখানে একপ্রকার বন্দিজীবন কাটাতে হতো তাকে। বাবা অ্যাসাঞ্জের নিঃসঙ্গতা বুঝতে পেরে ২০১৬ সালে তার সন্তানেরা তাকে বিড়ালটি উপহার দেন। টুইটারে বিড়ালটি ‘অ্যাম্বাসি ক্যাট’ নামে পরিচিতি পায়।