বৈশাখের ঘোরাঘুরিতে আপনার জন্য উপকারী যা…

জীবন যাপন ডেস্ক

বৈশাখের খাবার। ছবি -সংগৃহিত
বৈশাখের খাবার

বৈশাখ মানেই গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু। আর নববর্ষ মানে ভোর থেকে ঘোরাফেরা, সাজগোজ, অফুরাণ আনন্দ। কিন্তু এই গরমে খাবারদাবারের বেলায় একটু সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী। নয়তো আনন্দন-উৎসবে মেতে উঠতে গিয়ে অসুস্থ বোধ করতে পারেন।

গরমে বাইরে রোদে ঘোরাঘুরি করলে দ্রুত শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। সে জন্য সবসময় আপনার সাথে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি রাখুন। বাড়িতে কেউ বেড়াতে এলে আপ্যায়ন করুন তাজা ফলের রস, ডাবের পানি বা বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত দিয়ে। রাস্তায় বিক্রি হওয়া লেবুর শরবত বা আখের রস মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খুব বেশি ঘেমে গেলে বা মাথা ঝিমঝিম করলে ওরস্যালাইনও খেতে পারেন।

পান্তা-ইলিশ বা ভর্তা-ভাজি খেয়ে অনেকেরই পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা, বমি ভাব এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই খাওয়ার আগে বুঝেশুনে খান। ভর্তায় অতিরিক্ত ঝাল না দেওয়াই ভালো।

বেশি মসলাযুক্ত খাবারে গরম বেশি লাগে। তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। ধীরে ধীরে খান। খাওয়া শেষ করে সাথে সাথে পানি পান করা এদমই উচিত না। খাবারের পর অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি নিন।

universel cardiac hospital

শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলে বাইরের পান্তা, ইলিশ, চটপটি, ফুচকা, আচার, শরবত ইত্যাদি দেবেন না। এগুলো অনিরাপদ। শিশুদের যেন পানিশূন্যতা বা হিট স্ট্রোক না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

ছোট শিশুকে নিয়ে সারা দিনের জন্য বের হলে সাথে টিফিন বাটিতে নুডলস, খিচুড়ি, পায়েস-জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। সাথে ফ্ল্যাস্কে পানি বা ফলের রস রাখতে ভুল করবেননা।

গরমে চা, কফি বেশি খেলে গরম বেশি লাগে, ঘামও হয়। ক্যাফেইন আরও পানিশূন্য করে দিতে পারে।

এবার জেনে নিন বৈশাখের ঘোরাঘুরিতে আপনার জন্য যা উপকারী…..

ডাবের পানি: ডাবের পানি প্রাকৃতিক স্যালাইন, কেননা এতে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম, সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। এ ছাড়া এতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আছে।

আখের রস: বাড়িতে তৈরি আখের রসে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, গ্লুকোজ ও ম্যাগনেশিয়াম পাবেন। আখের রস হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

লেবুপানি: লেবুর পানি গরমে দ্রুত স্বস্তি এনে দেয়। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম আছে এতে।

বেলের শরবত: গরমে পেট ঠান্ডা রাখে বেলের শরবত। পেট পরিষ্কার ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

কাঁচা আমের শরবত: কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা গরমে আরাম দেয়। সামান্য জিরার গুঁড়া লবণ মিশিয়ে খেলে প্রশা‌ন্তি পাবেন।

দই বা দইয়ের শরবত: গরমকালে দই খুব উপকারী। দইয়ের মধ্যে জিরা, আদা, পুদিনাপাতা ও পছন্দমতো চিনি দিয়ে ফেটিয়ে খেলে আরাম পাবেন।

তরমুজের রস: তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় অংশ। এটি পানিশূন্যতা দ্রুত রোধ করে। হজমেও সাহায্য করে।

এ ছাড়া এই বৈশাখে বাড়িতে রাখুন ফলের সমাহার। শসা, টমেটো, কাঁচা সালাদ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদিতে জলীয় অংশ অনেক বেশি তাই এই গরমে এগুলো খাওয়া ভালো।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে