আগামী ২০ এপ্রিল থেকে দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচন অফিস থেকে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তোলা যাবে। এ জন্য যাবতীয় কেনাকাটা ও প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। কেউ পরিচয়পত্র তুলতে না পারলে প্রয়োজনে ইসিতে অভিযোগও করতে পারবেন।
আজ সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক আরাফাত আরা স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিটি ৬৪ জেলার নির্বাচন অফিস ও থানা নির্বাচন অফিসার বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ভোটারদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে গত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের মাসিক সমন্বয় সভায় হারানো জতীয় পরিচয়পত্র পুনঃমুদ্রণ-সংক্রান্ত কার্যক্রম পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাসহ দেশের সব জেলাসমূহে বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ কাজে কেউ অসহযোগিতা করলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
বর্তমানে ৬৪ জেলার সঙ্গে ইসির কানেক্টিভিটি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রতিটি জেলায় দুটি করে প্রিন্টার, লেমনেটিং মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছে। এ কারণে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে সব জেলা নির্বাচন অফিস থেকে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পুনঃমুদ্রণ বিতরণ করার জন্য আনুরোধ করছে নির্বাচন কমিশন।
এ কাজে কেউ অসহযোগিতা করলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র মতে, ঢাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের ওপর থেকে চাপ কমাতে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র জেলা নির্বাচন অফিসে ছাপানো হবে। সেক্ষেত্রে জেলা সার্ভার স্টেশনগুলোর সঙ্গে ঢাকার হেড অফিসের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হবে। বর্তমানে শুধু ঢাকায় হারানো বা নষ্ট কার্ড প্রিন্ট দেয়া হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন করতে ঢাকায় আসতে হয় সাধারণ নাগরিকদের। নতুন উদ্যোগের ফলে জেলা নির্বাচন অফিসে এই সেবা পাওয়া যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) অনুলিপির সঙ্গে নির্ধারিত ফি জমা দিলেই বর্তমানে কেন্দ্রীয় অফিস থেকে কার্ড ছাপিয়ে দেয়া হয়।