“জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনার আলোকে বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।”
‘স্বাস্থ্য সেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার থেকে দেশে শুরু হচ্ছে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। ২৩ এপ্রিল এই সেবা সপ্তাহ শেষ হবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেবা সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, র্যালী, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, টেলিভিশনে প্রচার প্রচারণা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পুষ্টি বিষয়ক আলোচনা।
জাতীয় পর্যায়ের সাথে সমন্বয় রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই ধরণের কর্মসূচির মাধ্যমে সেবা সপ্তাহ পালিত হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনার আলোকে বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের দোরগোড়ায় নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ সকল কার্যক্রমের বিস্তৃতিসহ সার্বিক সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানসহ স্বাস্থ্য খাতের বিপুল উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও জাতীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি না থাকায় জনগণ এ বিষয়ে বিশদভাবে সুনির্দ্দিষ্ট তথ্য অবহিত হতে পারছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি জাতির সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে জনস্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নয়নের উপর। সরকার স্বাস্থ্যমান উন্নয়ন, সংরক্ষণ, সেবার মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বিগত এক দশকে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন বিশেষায়িত ও জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে চিকিৎসকদেরকে গ্রামে থেকে মানুষকে চিকিৎসা প্রদানে উৎসাহিত করতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে। আমরা চাই, চিকিৎসকরা গ্রামে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকবেন। স্বাস্থ্যখাতে ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম রোধে আমরা বদ্ধপরিকর। যখনই কোনো অনিয়মের অভিযোগ উঠে তখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।