পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিপাকে পড়েন বাংলাদেশি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেন। ফলে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় জটিলতার মুখে পড়ায় ঢাকায় ফিরে এসেছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ভারত থেকে ঢাকার হযরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
বিমান বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে কালো তালিকাভুক্তও করেছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ফেরদৌসের ভিসা–সংক্রান্ত আচরণ লঙ্ঘনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ ও কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
অভিনেতা ফেরদৌস রোববার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। এলাকাটি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে।
নির্বাচনী ওই প্রচারে ফেরদৌসের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার দুই তারকা অঙ্কুশ হাজরা ও পায়েল। এ ঘটনায় বিজেপি নেতারা তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান এবং নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ অম্বিকা রায় এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার জানা মতে, এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এক্ষেত্রে ভারতীয় ভিসা আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনও বিদেশি যে ক্যাটাগরির ভিসায় এদেশে আসুক না কেন তিনি এটা করতে পারেন না। এটা খুবই মারাত্বক অপরাধ। এর জন্য আভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।’
ভারতীয় ভিসা আইন উল্লেখ করে অম্বিকা রায় আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের ভিসা আইনে কোনও রাজনৈতিক ভিসার ক্যাটাগরি নেই। ভিসার আবেদন পত্রে বিদেশিদের লিখতে হয় তিনি কি কারণে ভারত ভ্রমণে করতে চান। কনফারেন্স ভিসা ক্যাটাগরিতে বিদেশি রাজনৈতিক নেতারা এদেশে এলেও তাদের ক্ষেত্রে বলা আছে, রাজনৈতিক বা সামাজিক সর্ম্পশকাতর বিষয়ে ভিসা দেওয়া হবে না।’