সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে চার ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে চার ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক বৈশ্বিক সূচকে চার ধাপ নিচে নেমে গেছে বাংলাদেশ। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার গতকাল বৃহস্পতিবার বার্ষিক এই সূচক প্রকাশ করেছে।

সূচকে থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম।

এই সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন মারাত্মকভাবে বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ এবং সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা বেড়েছে বলে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার-এর বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে। 

universel cardiac hospital

বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণে ওই সূচকে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কড়া নীতির যৌথ শিকার বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।’

ওই বিশ্লেষণে আরো বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নির্বাহীরা।

এই আইনে নেতিবাচক প্রচারণার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। যেসব সাংবাদিক এবং ব্লগাররা সমাজে অতিরিক্ত ধর্মনিরপেক্ষ মত প্রকাশের সুরক্ষা চান তারা উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের হয়রানি আর হত্যার শিকার হচ্ছে।’

প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) সারাবিশ্বের সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন ও হামলার ঘটনা নথিবদ্ধ করে তা প্রতিরোধে কাজ করে। সংস্থাটির ২০১৯ সালের সূচকে দেখা গেছে, সাংবাদিকদের ওপর ঘৃণা সহিংসতায় পরিণত হচ্ছে। আর এর ফলে সারাবিশ্বে ভয়ের পরিবেশ বাড়ছে।

আরএসএফ এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করতে পারা দেশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে আর স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা অব্যাহত রেখেছে।


বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০১৯ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৯) –এ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নরওয়ে। পরপর তিন বছর ধরে এই সূচকে প্রথম স্থান অর্জন করলো দেশটি। শীর্ষ পাঁচ দেশের সবগুলোই ইউরোপের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। সাইবার নিপীড়ন বাড়ায় একধাপ নিচে নেমে সুইডেনের অবস্থান তিনে। আর চতুর্থ অবস্থানে নেদারল্যান্ডস। আর পঞ্চম অবস্থানে ডেনমার্ক। 

সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থান স্বভাবতই নিচের দিকে। দুই ধাপ নিচে নেমে ভারতের অবস্থান ১৪০ আর তিন ধাপ নিচে নেমে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪২।

তালিকার নিচের দিকে সর্বশেষ অবস্থানে তুর্কমেনিস্তান। এরপর ধারাবাহিকভাবে ওপরের দিকে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, চীন, ভিয়েতনাম।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে