ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর উপ মহাপরিচালক (ডিডিজি) পদে নির্বাচনে বাংলাদেশ জয়লাভের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।
সূত্র মতে, ভারতসহ সংস্থার কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন জানানোর আভাস দিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক জানান, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং নয়াদিল্লী ভিত্তিক আইওএম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কয়েকজন দূতের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে, তারা এই পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থন দেয়ার ইতিবাচক আভাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র সচিব হক বলেন, বুধবার রাতে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এক ডিনারে কয়েকজন দূতের সঙ্গে তার আলাপকালে আইওএম এর ডিডিজি পদে বাংলাদেশের প্রার্থীতাকে তারা ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন। তবে তিনি বলেন, এটিকে নির্বাচন হিসাবেই দেখতে হবে এবং আসলে কি ঘটে, সেটি দেখার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ঢাকায় অনেক আইওএম সদস্য রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন নেই। তারা ঢাকা থেকেই দায়িত্ব পালন করেন। পররাষ্ট্র সচিব এমন কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আসন্ন আইওএম নির্বাাচন নিয়ে আলাপ করেছেন। আগামী ২১ জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক তিনদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লী অবস্থান করছেন। তিনি মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিপি গোখলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
একই দিনে তিনি আইএমও সদস্য রাষ্ট্রে কমপক্ষে ২০ জন কূটনীতিকের সঙ্গে ব্যক্তিগত পযার্য়ে আলাপ করেন। আলাপকালে তিনি এ পদে ঢাকার প্রতি তাদের সমর্থন কামনা করেন।
শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারে রাখাইনরাজ্যে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে তারা জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বাংলাদেশ এই পদটির জন্য ৪টি দেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দেশ ৪টি হলো জর্ডান, আফগানিস্তান, ফিলিপাইন ও সুদান।
শহিদুল হক আইওএম মাইগ্রেশন এডভাইজারি বোর্ডের সদস্য। তিনি ২০১৩ সালে জানুয়ারিতে পররাষ্ট্র সচিব এবং ২০১৮ সালে সিনিয়র সচিব পদে পদন্নোতি লাভ করেন।