সালমান খানের কাছে বিবেকে ওবেরয়ের প্রশ্ন

বিনোদন ডেস্ক

সালমান খান, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও বিবেক ওবেরয়
সালমান খান, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও বিবেক ওবেরয়

ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সালমানের প্রেমের কাহিনি প্রায় ১৬ বছর আগের। সে সময় বিবেকও পছন্দ করতেন ঐশ্বরিয়াকে। এই নিয়ে দুজনের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। সংবাদ সম্মেলন করে সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন বিবেক। সালমান নাকি মদ্যপ অবস্থায় বিবেককে ৪১ বার কল করেছিলেন। এমনকি ঐশ্বরিয়ার পিছু না ছাড়লে খুন করার হুমকিও দিয়েছিলেন।

সালমান খান ও ঐশ্বরিয়ার প্রেমের কাহিনি সবারই জানা। সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে সামির আর নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি সত্যি সত্যি প্রেম করেছেন তাঁরা। ক্যামেরার সামনে প্রেমের অভিনয় করতে হয়নি। কিন্তু বলিউড সিনেমার মতো সেই গল্প সুখকরভাবে শেষ হয়নি। গল্প থেকে পরে মুছে যায় সালমানের নাম। সেখানে তৃতীয় পক্ষ হয়ে ঢুকে পড়েন বিবেক ওবেরয়। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি। বরং ক্যারিয়ার প্রায় ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছিল বিবেকের। কেননা সালমান খান সম্পর্কে প্রচলিত প্রবাদ আছে—সালমান খান যেমন ভালো বন্ধু, তেমনি শত্রু হিসেবেও ভয়াবহ। তাই প্রতিভাবান আর সম্ভাবনাময় হয়েও বলিউডে তেমন কিছুই করতে পারেননি বিবেক। সালমানের প্রেমিকার দিকে নজর দেওয়ার ফল নিশ্চয়ই ভালো হতে পারে না।

সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বিবেক। এ উপলক্ষে বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিবেককে জিজ্ঞেস করা হয়, সালমানকে যদি একটি প্রশ্ন করতে বলা হয়, কী বলবেন? বিবেক বলেছেন, ‘সালমানকে জিজ্ঞেস করব, সে কি ক্ষমায় বিশ্বাস করে?’

universel cardiac hospital

অনেকে মনে করেন, ২০০৩ সালে সালমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ডাকার শাস্তি পাচ্ছেন বিবেক। তাঁকে বিসর্জন দিতে হয়েছে বলিউডের ক্যারিয়ার।

২০১৭ সালে মুম্বাই মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন আমার ব্যক্তিগত জীবন শেষ হয়ে গেল, তখন আমি ক্যারিয়ারের লক্ষ্যে অটুট থাকতে পারিনি। এমনকি যখন আমি কিছু ভালো কাজ করেছি, তখনো না। “শুটআউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা” হিট করার পর প্রায় এক বছর বাড়িতে বসে ছিলাম।’

ওয়েবভিত্তিক ধারাবাহিক ‘ইনসাইড ইগল’ আর তামিল ছবি ‘ভিভেগাম’-এর সাফল্যের পর বলিউডে ফেরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বিবেক। কিন্তু তাঁর স্বপ্নের গুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে হতাশার বালি। তাঁর অভিনীত ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবিটি ২৭টি ভাষায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১২ এপ্রিল। সেখানেও বাগড়া দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি পায়নি। এ যেন সালমানের অভিশাপ! ডিএনএ ইন্ডিয়া

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে