রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো লক্ষ্যহীনভাবে শুধু দেশ পরিচালনাই করেনি, তারা লক্ষ্যহীনভাবে রেলব্যবস্থা পরিচালনা করেছে। তারা রেলওয়ের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি আয়োজিত ‘জনপ্রত্যাশার আলোকে আধুনিক ও উন্নত রেলসেবা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অথচ পরাজিত শক্তি দেশ গঠনে অংশগ্রহণ না করে দেশের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, রেলওয়েতে পণ্য পরিবহন ২৫ ভাগ থেকে ১১ ভাগে নেমে এসেছে। পণ্য পরিবহনে রেলকে পূর্বের অবস্থানে ফিরে নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০ হাজার কর্মচারিকে গোল্ডেন হ্যান্ডসেক দিয়ে বিদায় করে রেলওয়েকে একটি কোম্পানিতে পরিণত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার রেলওয়েকে আবারো ঐতিহ্যের জায়গায় আনতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
সংগঠনের সভাপতি দীপক কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী কাজী মো. রফিকুল আলম ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেলের উপ-পরিচালক ইয়াকুব হোসেন শিকদার।