”তারেক-জোবাইদার ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ সরকারের নির্দেশে”

ডেস্ক রিপোর্ট

রিজভীর সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

সরকারের নির্দেশেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।’

আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের আদালত ব্যবহার করে সরকার তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকে থাকা তিনটি হিসাব জব্দের নির্দেশের আদেশ করিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।’

‘মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে। এখন বিএনপিকে চাপে ফেলতে এই সরকার দুদককে দিয়ে একটি কাল্পনিক ও মিথ্যা আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে আদেশ করিয়েছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প।’

ওয়ান ইলেভেনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার তারেক পরের বছর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে যান।

এরপর থেকে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন। লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর পদাধিকার বলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছেন তারেক।

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলা ছাড়াও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং মুদ্রা পাচারের এক মামলায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত। দেশে ফিরলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে।

তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন সরকারের মন্ত্রীরা।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সরকার ভীত হয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ সামনে এনেছে। কারণ এখন সরকার যা বলে নিম্ন আদালত তাই করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’

রিজভী বলেন, সরকার গত ১২ বছর ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও তারেক রহমানের কোনো অবৈধ সম্পদের সন্ধান পায়নি,  অথচ ঢালাওভাবে তার বিরুদ্ধে কত যে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে অপপ্রচার করেছে সেটির ইয়ত্তা নেই। এখন দুদককে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করল সরকার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে