নিত্যপ্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ডিভাইস পেনড্রাইভ। ডাটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য এবং সবচেয়ে হালকা মাধ্যম হলো পেনড্রাইভ। ব্যবহারকারী কী ধরনের কাজ করবে, তার ওপর ভিত্তি করে পেনড্রাইভের মেমরি সাইজ ঠিক করা উচিত।
যদি আপনার কাজকর্ম অনেক বেশি ডাটা নিয়ে হয়ে থাকে, তবে আপনার জন্য বাজারে রয়েছে ৩২ থেকে ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত পেনড্রাইভ। ডাটা ট্রান্সফার স্পিড একটি অন্যতম জরুরি বিষয়। বাজারে এখন সর্বত্র ইউএসবি ৩.০ জেনারেশনের পেনড্রাইভ পাওয়া যায়। যার দাম একটু বেশি এবং সর্বনিম্ন ৩০ মেগাবাইট থেকে সর্বোচ্চ ৪.৮ গিগাবাইট পার সেকেন্ড স্পিডে ডাটা আদান-প্রদান করতে পারে।
কিন্তু ইউএসবি ৩.০ জেনারেশন পেনড্রাইভ সমর্থন করে এমন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপগুলোতেই শুধু এটি ডাটা আদান-প্রদানে এমন স্পিড দেবে, অন্যথায় তা বাজারের সাধারণ অর্থাৎ ইউএসবি ২.০ সংস্করণের মতো কাজ করবে। কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে, ব্যবহারকারী যে অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করে, সেই অপারেটিং সিস্টেমে ওই পেনড্রাইভের সংস্করণটি সমর্থন করবে কি না।
সাধারণত সব পেনড্রাইভই উইন্ডোজ এক্সপি থেকে উইন্ডোজ ১০ সব উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সংস্করণগুলোতে সমর্থন করে। তবে আপনি যদি লিনাক্স কিংবা আইওএস ইউজার হন, সে ক্ষেত্রে আগে নিশ্চিত হয়ে তারপর কিনবেন।
অনেকেই ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ খুঁজে থাকেন। বাজারে ট্র্যান্সসেন্ড, এ-ডাটা, অ্যাপাচার, এইচপি ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ সবচেয়ে বেশি চলছে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে চায়নিজ ব্র্যান্ডের নিম্নমানের পেনড্রাইভগুলো ঠিকমতো ডাটা স্টোর করে রাখতে পারে না এবং ডাটা ট্রান্সফার হয় অনেক ধীরে ধীরে। এ ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি দেখে পছন্দের ব্র্যান্ডের মধ্যে বেছে নিতে পারেন আপনার পেনড্রাইভটি।
বাজারে সাধারণত ৮ গিগাবাইটের পেনড্রাইভ ৫০০-৬৫০ টাকার মধ্যে পাবেন। ১৬ গিগাবাইটের পেনড্রাইভের দাম পড়বে ১০০০-১২৫০ টাকার মধ্যে।
যাঁরা একটু বেশি ডাটা ধারণে সক্ষম পেনড্রাইভ খুঁজছেন, তাঁরা ১৬০০-২০০০ টাকায় ৩২ গিগাবাইটের পেনড্রাইভ পেয়ে যাবেন।
একটি বিষয় জেনে রাখতে হবে, যত দামি বা ভালো ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভই হোক না কেন, নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত ব্যবহারের পর সব পেনড্রাইভেরই ডাটা ট্রান্সফার রেট ধীরগতির হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ভালো স্পিড পেতে আরেকটি পেনড্রাইভ কিনে নেওয়াই উত্তম।