সংসদীয় কমিটি ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বলা হয়েছে- পুলিশ প্রথম থেকে সচেষ্ট থাকলে নুসরাত জাহান রাফির প্রাণহানি ঘটত না।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি বলছে, যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলে প্রাণহানি মোকাবিলা করা যায়। পাশাপাশি, এ ধরনের ঘটনায় যাতে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো প্রশ্নের মুখে না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এর পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু ঘটে।
এই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান ডিআইজি রুহুল আমিন সম্প্রতি বলেছিলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের কোন্দলও প্রভাব রেখেছে। এই প্রেক্ষাপটে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলো।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয় উত্থাপন করেন কমিটির সদস্য জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান। এরপর কমিটির সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুও কথা বলেন।
কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বৈঠকে বলেন, কোনো তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে যদি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে প্রাণহানি আটকানো যেতে পারে। আলোচিত এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি সময়ে সময়ে জানতে চাইবেন বলে জানান সংসদীয় কমিটির সভাপতি টুকু।
বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, হাবিবুর রহমান, সামছুল আলম দুদু, ফরিদুল হক খান, নূর মোহাম্মদ ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদও অংশ নেন।