সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ এখনও বেঁচে আছেন। তার মৃত্যুর খবরকে গুজব বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা। আজ রোববার বিকেলে তিনি একথা জানান।
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। তবে এ খবর সত্য নয় বলে গণমাধ্যমকে জানান মাহফুজ উল্লাহর ভগ্নিপতি তালুকদার মহিবুল হোসেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। আজ রোববার দুপুরে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয় এবং বলা হয়, তোমরা তাকে দেশে নিয়ে যেতে পারো। তার সঙ্গে মেয়ে নুসরাত হুমায়রা মেঘলা আছে।
তিনি জানান, মেঘলা বলেছেন, উনার (মাহফুজ উল্লাহর) লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো বেঁচে আছেন। আজ রাতেই হয়ত উনার শেষ রাত হতে পারে।
এর আগে মেঘলা নিজের ফেসবুকে মাহফুজ উল্লাহর সবশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে একটি পোস্ট দেন। যেখানে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় চ্যানেলগুলোতে দেখানো হচ্ছে যে, মাহফুজ উল্লাহ মারা গেছেন। আমি হাসপাতালে উনার সঙ্গে আছি। উনি এখনো বেঁচে আছেন। তবে চিকিৎসকরা তার সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন যাতে তিনি শান্তিতে চলে যেতে পারেন।
৬৯ বছর বয়সী মাহফুজ উল্লাহ বর্তমানে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন।
গত ২ এপ্রিল সকালে ধানমন্ডির গ্রিন রোডে মাহফুজ উল্লাহ তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১১ এপ্রিল অসুস্থ মাহফুজ উল্লাহকে ব্যাংককে নেয়া হয়। সেখানকার বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা মাহফুজ উল্লাহ ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। সবশেষ তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।