জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক বিধবা (২৬) নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়ার আদমদীঘি থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই নারী নিজেই বাদি হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আদমদীঘির অন্তাহার গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে হেলালুজ্জামান (২৮), রকেট (৩২), আক্কাছ আলীর ছেলে রব্বানী (২৫), ইনতেজ আলীর ছেলে জুয়েল (২৮), বাবলুর ছেলে শরিফুল (২৮), ইব্রাহিম আলীর ছেলে হেলাল (২৮) ও এমদাদুল হকের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুরের জামালগঞ্জ পূর্ব মাতাপুর গ্রামের ওই নারী নওগাঁ সদরে বাটা শোরুমে সেলস ম্যানের চাকরি করার সময় আসামি হেলালুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরপর হেলালুজ্জামান তাকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে হেলালুজ্জামানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল ওই নারীকে মোবাইল ফোনে অন্তাহার গ্রামে আসতে বলেন তিনি।
ওইদিন বিকেলে ওই নারী অন্তাহার গ্রামে আসলে হেলালুজ্জামান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সন্ধ্যায় ছাতিয়ানগ্রাম বাজারে অপর আসামিদের সহযোগীতায় বিধবা ওই নারীকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেন।
আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।