মানবতাবিরোধী অপরাধ: হেদায়েতুল্লাহ ও সোহরাবের রায় বুধবার

আইন ও বিচার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছবি : সংগৃহিত

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোণার আটপাড়ার হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু ও সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলীর বিরুদ্ধে করা মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তিন আসামির মধ্যে এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু পলাতক এবং অপর আসামি সোহরাব আলী বিচারের সময় ট্রাইবুনালে উপস্থিত ছিলেন।

universel cardiac hospital

তিনি আরো বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। রায়ে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে বলে প্রত্যাশা করি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস শুকুর বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই বয়োজ্যেষ্ঠরা বেকসুর খালাস পাবেন বলে আশা করছি।

২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০), এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) এবং সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলীর (৮৮) বিরুদ্ধে ছয় ধরনের অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই।

২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঞ্জু। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। মামলাটি তদন্ত করেন মোহাম্মদ আমিনুর রশীদ। ট্রাইব্যুনালের বিচার চলাকালে আসামিদের বিরুদ্ধে ২৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

মামলার তিন আসামির বাড়িই নেত্রকোণার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জুর পরিবারের বসবাস রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ মেথর পাড়ায়। অপরদিকে সোহরাবের পরিবার থাকে একই জেলার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ এবং দেশত্যাগে বাধ্যকরণের মতো ছয় ধরনের অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায়। নেত্রকোণার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়।

আসামিদের তিনজনই একাত্তরে জামায়াতের কর্মী ছিলেন। এদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে