ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ফাঁসাতে যৌন হেনস্তার অভিযোগ!

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ
ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ফাইল ছবি

সম্প্রতি ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন এক নারী। রঞ্জন গগৈকে ফাঁসাতেই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার ভুয়া অভিযোগ আনা হয়েছে।  জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালসহ কর্পোরেট জগতের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ফিক্সার রোমেশ শর্মা ওই ষড়যন্ত্রে সামিল থাকতে পারেন। আইনজীবী উৎসব বাইন্স দাবি করেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা সাজাতে তাঁকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।

উৎসব বাইন্স বলেন, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করাতেই তাঁর বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি উৎসবের। এদিকে, ওই দাবির সমর্থনে তাঁকে প্রমাণ দিতে বলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। 

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত একটি বেঞ্চ আইনজীবী উৎসবকে নোটিশ পাঠিয়েছে।  নোটিশে বলা হয়েছে, আগামীকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিয়ে ওই দাবির সপক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে হবে উৎসবকে।

এর আগে, সোমবার আইনজীবী উৎসব দাবি করেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ভুয়া মামলা সাজাতে তাঁকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন অজয় নামের এক ব্যক্তি। এমনকি প্রধান বিচারপতিকে ফাঁসাতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলনেও আয়োজনের প্রস্তাব করেন ওই ব্যক্তি। 

উৎসব বাইন্সের দাবি, একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, জেট এয়ারওয়েজের মতো হাই-প্রোফাইল মামলার রায় যাতে নিজের পক্ষে যায়, সেজন্য রোমেশ শর্মার মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে বার্তা পাঠান নরেশ গয়াল। ওই মামলাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও চেষ্টা করেন তিনি। নরেশই ষড়যন্ত্রকারীর সঙ্গে মিলে প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি পদত্যাগ করেন। 

আইনজীবী উৎসবের দাবি, জেট এয়ারওয়েজে বিনিয়োগ করেছেন দাউদ ইব্রাহিম। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক সাবেক কর্মী প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন।  ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর দাবি, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাঁকে যৌন নিপীড়ন করেন প্রধান বিচারপতি। সে সময় তিনি প্রধান বিচারপতির বাড়ির অফিসে কাজ করতেন। প্রতিবাদ করায় প্রথমে তাঁকে ওই অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়; পরে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করা হয়। পুরো বিষয়টি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২২ জন বিচারপতির কাছে একটি হলফনামা দেন ওই নারী।

এদিকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট  এ বিষয়ে শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছে। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে