একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার আটপাড়ার হেদায়েতুল্লাহ আঞ্জু বিএসসি ও সোহরাব ফকিরকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আমীর হোসেন ও মো. আবু আহমেদ জমাদার।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী ও তাপস কান্তি বল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আব্দুর শুক্কর খান।
একাত্তরে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং আটপাড়ার মধুয়াখালী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান বলে উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।
২১৮ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে। ১, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাদের দশ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সোহরাব ফকির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আরেক আসামি হেদায়েতুল্লাহ পলাতক।
গত ৭ মার্চ উভয়পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য হেদায়েতুল্লাহ আঞ্জু, এনায়েত উল্লাহ মঞ্জু ও সোহরাব ফকিরের (সোহরাব আলী) বিরুদ্ধে ছয় ধরনের অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই। একই বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঞ্জু। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।