‘সরকারের উন্নয়নমুখী নীতিগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় সিপিডি’

ডেস্ক রিপোর্ট

ড. হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সরকারের শুধু দোষই খুঁজে বেড়ায়। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সিপিডি তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। এটি সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই সরকারের উন্নয়নমুখী নীতিগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তারা বলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

উল্লেখ্য, গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রথম এক শ দিনকে ‘উদ্যোগহীন, উৎসাহহীন ও উচ্ছ্বাসহীন’ বলে আখ্যা দেন সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তার এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় তিন গুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৬০০ ডলার ছিল। যা এখন দুই হাজার ডলারে পৌছেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দ্বিগুণেরও বেশি। সব মিলে ক্রয় ক্ষমতা দুই থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে।

তিনি বলেন, তারা বাজেটের আগে একবার দোষ খুঁজে, বাজেটের পরে একবার। বছরান্তে একবার খুঁজে, সব সময় দোষ খুঁজে তারা। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে সিপিডির কাজ কী শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো। এই যে অগ্রগতি গত ১০ বছরে হয়েছে, দুঃখজনক হলেও সত্য এটি তারা দেখে না। এটি তাদের দৈন্যতা এবং ব্যর্থতা।

এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে না এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বিএনপি। এটি গণতন্ত্রের মূলনীতির চরম লঙ্ঘন। আমি মনে করি, জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে বিএনপির সংসদে আসা উচিত।

তিনি বলেন, তারা যদি সঠিকভাবে করতো, মনোনয়ন বাণিজ্য যদি না হতো, তারা আরো বেশি আসন পেতে পারতো। সেটি তারা করেনি। এখন তারা নির্বাচিত হওয়ার পর যে সংসদে যাবে না বলছে, শপথ নেবে না বলছে, এটি জনগণের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে