বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সিলেট বিভাগে নতুন ৬টি সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
আজ বুধবার সিলেটের জেলা প্রাশাসকের কার্যালয়ে সীমান্ত হাট নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সিলেট জেলার একমাত্র সীমান্ত হাট হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে। এ বছরের ডিসেম্বরে সেটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া সিলেটে আরো ২টিসহ ৬টি সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০২০ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ও কানাইঘাট সীমান্তে আর ২টি হাট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে আরও ৩টি হাট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে গত বছর আগরতলায় প্রথম বৈঠক হয়। সিলেটে এটি দ্বিতীয় বৈঠক।
এই বৈঠক শতভাগ সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শফিকুল জানান, সীমান্ত হাটে উভয় দেশের ৫০টি করে দোকান থাকবে। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্ধারণ করবে কত টাকা পর্যন্ত মালামাল কিনতে পারবেন।
তবে মালামাল কেনা ২শ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখা হবে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে বিজিবি ও বিএসএফ কাজ করে যাবে।
এ-সংক্রান্ত পরবর্তী সভা আগামী ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হবে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
বৈঠকে ১৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ও ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ভূপিন্দর এস বাল্লা।
বৈঠকের আগে মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সীমান্তের ১২৪৮/১১এস ও ১২৪৮/১২এস পিলারের কাছে সীমান্ত হাটের স্থান পর্যক্ষেণ করেন প্রতিনিধিদল।