শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় দেশটির সরকারের বিভিন্ন অংশের মধ্যকার সমন্বয়হীনতার বিষয়টি জোরালোভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার আগে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
মন্ত্রিপরিষদের এক সদস্য বলেছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বসতর্কতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী হামলার ব্যাপারে অন্ধকারে ছিলেন।
সরকারের আরেক মুখপাত্রের বক্তব্যে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা হামলার নেপথ্য কারণ হিসেবে সরকারের দুই অংশের এই বিভাজনকে দায়ী করছেন। তারা সতর্ক করেছেন, এই বাস্তবতা বিস্তৃত হলে দেশটির ভবিষ্যৎ শঙ্কার মধ্যে পড়বে।
শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এপ্রিলের শুরুতে আগাম সতর্কতা দিয়েছিলেন।
বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কায় হামলা হতে পারে। ১১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান।
এতে বলা হয়, ‘একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। ওই হামলার একদিন পর আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। বোমার আঘাতে আহত হন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত বোমা ছিল।