শ্রীলঙ্কায় গত রোববার ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ জনে। পুলিশের বরাত দিয়ে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার গির্জা ও হোটেলে এই সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ২১ এপ্রিল রোববার সকালের ভয়াবহ ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ।
শ্রীলঙ্কান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার মোট ৩২১ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তাছাড়া ভয়াবহ এই হামলার দুদিন পর গতকাল দেশটিতে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। দুই মিনিট শোকে স্তব্ধ ছিল গোটা দেশ।
শীলঙ্কায় নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি আছেন বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের একজন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের নাতি। ভয়াবহ সেই বোমা হামলার সময় শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছিলেন শেখ সেলিমের মেয়ে ও জামাতা।
মঙ্গলবার আইএস পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আমাক নিউজ অ্যাজেন্সিতে শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এর আগে দেশটির চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতকে হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে দায়ী করে সরকার।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হওয়া হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলঙ্কায় হামলা হয়েছে বলে পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তৃতায় জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়াবর্ধনে। এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী। শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা বাহিনীর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রথম আত্মঘাতী হামলার দুই ঘণ্টা আগেই তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল।
শ্রীলঙ্কার এই হামলার ঘটনার তদন্তে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (এফবিআই) এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়েছে।