রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের প্রতি এ বিষয়ে সার্কুলার ইস্যু করতে মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন। অ্যান্টিবায়োটিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চারটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বুধবার রিটটি করেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে।
সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপারবাগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এটি।