মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ায় গেছেন জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএমসহ জাতিসংঘের তিন সংস্থা প্রধানের নেতৃত্বে আজ শুক্রবার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি।
আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তারা নির্যাতনের বর্ণনা এবং তাদের দুঃখের কথা শোনেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে উগ্রবাদীদের হামলার সূত্র ধরে রাখাইন রাজ্যে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
মুসলিমদের উপর নির্যাতন, জুলুম, নিপীড়ন, ঘর বাড়িতে আগুন, মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা।
জাতিগত বিরোধ ও ধ্বংস লীলার পর প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হলেও তাদের মানবেতর জীবন কাটছে।
রোহিঙ্গাদের এমন দুর্দশা দেখতে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে জাতিসংঘের ২০ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান। তার আগে গত বুধবার বিকালে ঢাকায় পৌঁছান তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা শরণার্থী কমিশনারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় বালুখালী-২ এর ১১ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিদল। এসময় তারা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি’র বিভিন্ন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এছাড়া প্রতিনিধিদলটি ১১, ১৭ ও ১৮ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং নারী ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বেলা তিনটার দিকে তাদের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর সদর দপ্তরের হাই-কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (হিউম্যান অ্যাফেয়ারস) মার্ক লোকক ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এর মহাপরিচালক এন্তোনিও ভিতোরিনো।