১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি বলেন আর ঐক্যফ্রন্ট বলেন, সবাইকে সংসদে আসতেই হবে। কারণ সংসদ ছাড়া আর আপনাদের কথা বলার জায়গা নেই। আমাদের বিরুদ্ধেই তো বললেন। বলেন, তবে সংসদে এসে বলেন।
রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে আজ শুক্রবার নিরাপদ সড়কের দাবি, মাদক ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নাসিম বলেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক কিংবা জঙ্গির কোনো দল থাকতে পারে না। তাই আমি অনুরোধ জানাব, আসুন আমাদের সমর্থন দিন এবং মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করি।
বিএনপি নেতারদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, নির্বাচনে অংশ নিলেন তবে নির্বাচনের পর কেন পালিয়ে গেলেন? মাদক-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসছেন না। আপনারা কথা বলেন প্রেস কনফারেন্সে। আপনাদের নির্বাচিতদের সংসদের আসতেই হবে। সংসদে যাবেন না তো সব হারাবেন। নির্বাচনে হেরেছেন, নির্বাচনী মাঠ হারিয়েছেন। এখন বাকি শুধু সংসদ। না আসলে সংসদও হারাবেন। একজন বিএনপি নেতা শপথ নিয়েছেন তাকে অভিনন্দন জানাই।
নুসরাত হত্যা
নুসরাত হত্যা সম্পর্কে মো. নাসিম বলেন, নুসরাত আহত হওয়ার পর শেখ হাসিনা মাতৃছায়ায় এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু নুসরাতকে বাঁচানো যায়নি। একজন মাদরাসা শিক্ষক কীভাবে ছাত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে শিক্ষক নয়, মানুষরূপী হায়েনা।
নাসিম বলেন, রাজনীতি মানুষের জন্য। স্লোগান, গলাবাজির জন্য না। মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে। আমি সাবধান করে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ যদি মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে নামে তাহলে কোনো মাদক ব্যবসায়ী ঘরে থাকতে পারবে না।
মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করতে হবে
তিনি বলেন, মাদক অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে। আমি নিজে কোনো দিন ধূমপান করি নাই, আমার সন্তানও করে না। আপনাদের সন্তানেরও একইভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করতে হবে। নিজে মাদক সেবন করবেন না, সন্তানকেও করতে দেবেন না।
এরপর উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী অবস্থানে থাকার জন্য শপথ করান নাসিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাহাদাত হোসেন, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত প্রমুখ।