বিস্ফোরক রাখার দায়ে ৩ রোহিঙ্গার কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

রোহিঙ্গার কারাদণ্ড
রোহিঙ্গার কারাদণ্ড। ছবি : সংগৃহিত

ঢাকার একটি আদালত বিস্ফোরক রাখার দায়ে মিয়ানমারের ৩ জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তারা সবাই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

universel cardiac hospital

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নূর হোসেন ওরফে রফিকুল ইসলাম (৩০), ইয়াসির আরাফাত (২৬) ও ওমর করিম (২৯)। আসামিদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় প্রথম দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়া আসামি ওমর করিম পলাতক রয়েছেন। রায়ে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আসামিদের মধ্যে ওমর করিম মিয়ানমারের আকিয়ার জেলার পাথরকিল্লাহ থানার পিফারাং গ্রামের মৃত আবুল বসরের ছেলে। আসামি নূর হোসেন আকিয়াব জেলার আরাকান থানার দানেসপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ হোসাইনের ছেলে এবং আসামি ইয়াসির আরাফাত একই জেলার মণ্ডু থানার হাসুরাধা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন হাওলাদার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর লালবাগ থানাধীন এতিমখানা রোডের ব্যাচেলর ব্যারাকের পশ্চিম পাশে বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন ফুটপাতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালায় ডিবি।

ওই সময় আসামি নূর হোসেন এবং ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে পটাশিয়াম ক্লোরেড ও আসেনিক ডাই সালফাইড জাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করে ডিবির বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম।

ওই ঘটনায় পরদিন ১ ডিসেম্বর লালবাগ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ওই টিমের এসআই এসএম রাইসুল ইসলাম বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তারা আরএসও, জিআরসি, এআরইউ এবং ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা আন্তর্জাতিক ইসলামী উগ্রপন্থী সংগঠনের সহায়তায় বাংলাদেশে নাশকতা করার জন্য একত্রিত হয়েছিল।

ডিবির এসআই মো. আব্দুল কাদের মিয়া তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।

চার্জশিটে পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় সাদ্দাম, সাহাবুদ্দিন ও জুবায়ের নামের অপর ৩ আসামিকে চার্জশিটে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

চার্জশিট দাখিলের পর ওই বছরের ১২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। মামলায় আদালতে ৯ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে