কিরগিজস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে লাওস

ক্রীড়া ডেস্ক

বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে লাওস
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে লাওস। ছবি: বাফুফে

বীরত্ব দেখিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠেছে লাওস । টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে আজ কিরগিজস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে চলে গেছে তারা। শুধু ফাইনালই নিশ্চিত করেনি, সেমিফাইনালের বড় জয় দিয়ে ফাইনালের প্রতিপক্ষকে দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের শক্তিটা।

শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে আগামীকাল বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যকার জয়ী দল।

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নিজেদের আলাদাভাবে প্রমাণ করেছে লাওস। প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাজিকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের সামনে কিরগিজস্তানও পাত্তা পাবে না, তা অনুমেয় ছিল। কিন্তু লড়াই এতটা একপেশে হবে, তা হয়তো ভাবেননি দর্শক। আসলে লাওসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোনো বিভাগেই কুলিয়ে উঠতে পারেনি কিরগিজরা।

৪ গোল করে দুই দলের ব্যবধানটা মূলত গড়ে দিয়েছেন স্ট্রাইকার পি। টুর্নামেন্টে পিয়ের গোল হলো ৮টি।

৯ মিনিটেই দৃষ্টিনন্দন গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে পি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই টুর্নামেন্টে তাঁকে নিয়ে কেন এত আলোচনা। একটি থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের ডান প্রান্তে দিয়ে প্রবেশ করে জোরালো শট করলে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে, ১-০।

অবশ্য এই গোলে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কৃতিত্ব কম নয়। ২১ মিনিটে ২-০ করেছেন পি। বাঁ প্রান্ত থেকে পাওয়া বল ডিফেন্ডারদের সামনে থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজনকে কাটিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে। কার্যত ম্যাচটা তখনই শেষ ধরে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় কিরগিজস্তান। ৪৩ মিনিটে ২-১ করেছেন ডিফেন্ডার আশাকারভা।

ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেওয়া কিরগিজদের দ্বিতীয়ার্ধে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। হজম করেছে ৫ গোল। পি হ্যাটট্রিক করেছেন ৮৬ মিনিটে। তাঁর চতুর্থ গোলটি ৮৯ মিনিটে। ৯২ মিনিটে শেষ গোলটি করেছে ল্যানোয় ভেংশিংখাম। এর আগে দুটি গোল করেছেন বদলি ভাডি ইনথিয়া ও মনতিফ সিসাকেত। শক্তির বিচারে এই লাওসের হাতেই অনেকেই দেখছেন শিরোপা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে