ইউসেপ বাংলাদেশের ‘কোয়েস্ট’ প্রকল্পের উদ্বোধন

অর্থনীতি ডেস্ক

দক্ষতা উন্নয়নে ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট প্রকল্পের উদ্বোধন
দক্ষতা উন্নয়নে ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার। ছবি-সংগৃহিত

কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কোয়েস্ট নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ইউসেপ বাংলাদেশ। ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও অনগ্রসর তরুণদের মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষভাবে গড়ে তুলার উদ্দেশে উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে তারা।

এ প্রকল্পে সার্বিক সহায়তা করবে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড।

গতকাল রোববার মিরপুরস্থ ইউসেপ বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্র্যান্সফরমেশন—কোয়েস্ট’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

universel cardiac hospital

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএফআইডির টিম লিডার (হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট টিম) ফাহমিদা শবনম, ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে জুলিয়া নিবলেট বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আর ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১ ভাগ পরে কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার এ বিষয়ে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ইউসেপ বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই এ দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এ জন্য ইউসেপ বাংলাদেশকে স্বাগতম জানাই। অস্ট্রেলিয়ান এইড মনে করে, বাংলাদেশের একজন মানুষও পিছিয়ে থাকবে না। আর সেই চিন্তার ধারাবাহিকতায় আমরা ইউসেপ বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছি।

নিবলেট বলেন, এই কোয়েস্ট প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে তরুণেরা আয় করে তার পরিবারের পাশে দাঁড়াবে এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখবে। আমরা চাই, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও নারীরাও সমানতালে দক্ষ হয়ে উঠুক।’

অনুষ্ঠান শেষে ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশন প্রোগ্রাম শব্দগুলোর সংক্ষেপিত রূপ ইউসেপ। মূলত, নিউজিল্যান্ডের সমাজকর্মী লিন্ডসে অ্যালান চেইনির পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় একটি অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করে ইউসেপ বাংলাদেশ।

শহরাঞ্চলের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে আসছে। দেশে ইউসেপ বাংলাদেশ ৩২টি সাধারণ স্কুল ও ১০টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে