মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেই দিলেন, এটিই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। তবে শেষ বিশ্বকাপে আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেই তাঁর।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তাকে শুধরে দিলেন
মাশরাফি বিন মুর্তজা, ‘“সম্ভবত” নয়, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ।’
২০১৯ বিশ্বকাপই যে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ—এটা মোটামুটি
সবারই জানা। প্রশ্নকর্তা হয়তো একটু ফাঁক রেখেছিলেন তাঁর প্রশ্নে। কিন্তু
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ব্যাপারটা পুরোপুরি ‘নিশ্চিত’ই করে দিলেন।
২০২৩ সালের পরের বিশ্বকাপটা খেলার মতো শারীরিক সক্ষমতা, বয়স কোনোটিই থাকবে না অধিনায়ক মাশরাফির। তাই নিজের শেষ বিশ্বকাপটি তিনি যে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন, সেটি না বললেও চলছে। কিন্তু অধিনায়ক নিজেই জানিয়েছেন—শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেই তাঁর!
বিশ্বকাপ তাঁর জন্য নতুন কিছু নয়। এটি অধিনায়ক হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। দলের সদস্য হিসেবে খেলেছেন ২০০৩ আর ২০০৭ বিশ্বকাপ। মাঝে দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপটা কেবল খেলা হয়নি চোটের দুর্ভাগ্যে পড়ে।
বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই জানালেন আলাদা করে এ উপলক্ষে প্রস্তুতিটা নিয়ে লাভ নেই কেন, ‘আলাদা করে তৈরি হওয়ার কিছু নেই। আলাদা করে নিজেকে তৈরি করাটাও একধরনের চাপ। আমার কাছে মনে হয় না আলাদা করে কিছু প্রস্তুতি নিয়েও আমি ওখানে কিছু করতে পারব! সেখানে খেলোয়াড় হিসেবেই পারফরম করার চেষ্টা করতে হবে। অবশ্যই অধিনায়কত্বটা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। আমার যে দায়িত্বগুলো আছে, সেগুলি ঠিকঠাক করার চেষ্টা করব।’
নিজের শেষ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিলেন যুক্তি দিয়ে। তিনি জানান, ‘দেখুন এই দল বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য রাখে। কিন্তু বড় কোনো ট্রফি জয় একটা অভ্যাসের ব্যাপার। এশিয়া কাপের শিরোপাটা জিতলে এই জায়গায় অনেকটা পথ এগিয়ে যেতাম। কিন্তু কেন যেন আমরা একটা জায়গায় আটকে আছি।’
বিশ্বকাপে এবার ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। এটা একটা ভালো দিক বলেই মনে করেন অধিনায়ক। তাঁর মতে, এই ফরম্যাট হওয়ার কারণে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে। তবে দলের খেলোয়াড়দের কাছে সেরাটাই চান মাশরাফি, ‘আমরা জানি প্রতিটি ম্যাচই ভালো যাবে না। এক মাসে ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। কোনো ম্যাচ খারাপ গেলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকছে। আমরা খেলোয়াড়েরা নিজেরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রত্যেককেই প্রতিটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’