ভূমিতে গ্রীষ্মের দাবদাহের দাপট আর সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র নড়াচড়া। একদিকে গরমের অস্বস্তি, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক। সপ্তাহের প্রথম তিনটি দিন এভাবেই কেটেছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার সকাল ও সন্ধ্যায় আকাশে কিছুটা মেঘ আর হালকা বাতাস ছিল।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে স্বস্তির কিছু নেই। আজ মঙ্গলবারও দাবদাহ বয়ে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও বরিশাল জেলার বেশির ভাগ এলাকায়।
এসব এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে শুধু সিলেটের কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও ঢাকায় দাবদাহে মানুষ ভুগলেও বৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৮ মিলিমিটার।
গত দুই দিন ধরে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরালার দিকে এগোচ্ছিল। তবে গতি ধীর হওয়ায় ঝড়ের কেন্দ্রে শক্তি বেড়ে গেছে। ফলে আজও দেশের সব বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে বোঝা যাবে এটি এখানে আঘাত হানবে কি না। ঘূর্ণিঝড়টি এখন বাংলাদেশের উপকূল থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।