ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় ও ধানের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন খাদ্য কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সকাল ১১টায় প্রায় ৩০০ জন কৃষক ও ক্ষেত মজুর তাদের দাবি নিয়ে প্রথমে একটি র্যালি বের করে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম কমিটির পীরগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অধীর কুমার রায়, সদস্য সচিব মো. মোর্তুজা আলম, উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আজাদ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, মজুর সমিতির সভাপতি এম এ মমিন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেলিন সহ অন্যান্যরা।
এ সময় কৃষকেরা দাবি করেন সার, ডিজেল, বীজ-কীটনাশক, বিদ্যুতের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ধান সহ ফসলের দাম বৃদ্ধির অনুপাত এর চেয়ে অনেক বেশি। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক সহ সাধারণ মানুষ। অথচ এই কৃষক দেশপ্রেমিকের কাজ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মূল ভূমিকা রাখছে। জিডিপিতে কৃষির অবদান শতকরা ১৯ শতাংশেরও বেশি এবং কর্মস্থানে শতকরা ৪৫ ভাগ।
কিন্তু কৃষক সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে পারছে না! কারণ সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা কৃষকদের অনুকুলে নয় ফলে মধ্যস্ত ভোগীদের হাতে ধানের বাজারের নিয়ন্ত্রন চলে যায। কৃষক লোকসান দিয়ে মধ্যস্ত ভোগীদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয় বলে তারা জানান।
পরে র্যালিটি পীরগঞ্জ উপজেলা চত্বরে এসে ধানের লাভজনক দাম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় চালু করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়, সার-বীজ-কীটনাশক সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানো, বারো মৌসুমে ধান আমদানি স্থগিত করার দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন খাদ্য কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।