সাংবাদিকদের ওপর খেপেছেন সাকিবের বউ শিশির

ডেস্ক রিপোর্ট

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, সাকিব আল হাসানের কপাল খারাপ। কারণ বিশ্বকাপগামী দলের আনুষ্ঠানিক ছবিতে থাকতে পারেননি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

গতকাল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নতুন জার্সি পরিহিত ছবিতে ছিলেন বাকি ১৪ জন, অনুপস্থিত ছিলেন শুধু সাকিবই। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেক। এসব আলোচনা-সমালোচনা পছন্দ হয়নি তাঁর স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কড়া ভাষায় সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছেন শিশির। তাঁর ভাষায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় সাকিবকে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ করা হচ্ছে।

universel cardiac hospital

ফেসবুকে নিজের (সাকিব উম্মে আল হাসান) পেজে আজ দুপুরে বেশ বড় এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিশির। সেখানে লিখেছেন, ‘সাংবাদিকদের নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, কেন তারা সাকিব আল হাসানকে এত ঘৃণা করে। আমার ধারণা আমাদেরই দোষ। আমরা তাদের ডিনার বা লাঞ্চে দাওয়াত দিইনি, কিংবা তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর কথা বলে তোষামোদ করিনি কিংবা তাদের দলের ভেতরের খবর দিইনি।

সাকিব জীবনের এ পর্যায়ে এসেছে কঠোর পরিশ্রম করে। ছোটবেলা থেকে সে বিকেএসপিতে পরিশ্রম করেছে, শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছে। সে অভিনয় শেখেনি কিংবা মানুষের সহানুভূতি নিয়ে খেলা করাও শেখেনি। এখন মনে হচ্ছে সেটা শিখলেই ভালো করত। হয়তো এ কারণেই সে খুব একটা ইতিবাচক মানুষ না। যাই হোক সে নিজের ভালো কাজগুলো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষকে খুশি করতে চায় না এবং মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চায় না।’

এরপরই মূল প্রসঙ্গে এসেছেন শিশির, ‘এখন আলোচনার বিষয় হলো সে কেন বিশ্বকাপের ফটোসেশনে ছিল না। প্রথমত সে এখানে যেতে পারেনি কিন্তু সেটা ইচ্ছে করে নয়। কারণ তাকে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটা ভুল বুঝেছে সে। এর পর সে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা দুঃখিত সে ঘটনা ভিডিও করে রাখিনি।’

এরপর একটি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানের সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন শিশির, ‘দ্বিতীয়ত একটি চ্যানেলে দুজন সাংবাদিক সাকিবকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। এর মাঝে একটি হলো “সে বিখ্যাত হওয়ার জন্য করছে।”

আমি যদি ভুল না করি, এটাই ওর সবচেয়ে কম দরকার। এটা আসলে উল্টো, আপনারা (সাংবাদিক) ওকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে বিখ্যাত হতে চাইছেন। কারণ এটাই ব্যবসা, এ ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে লাভজনক এবং আপনাদের প্রোফাইলও ভারী হবে! যদি তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থাকে তবে যেকোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করুন। মাঠ ও মাঠের বাইরে ভেতরের খবর নিন। বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। তাঁকে তাঁর মতো থাকতে দিন। আমার মনে হয় আরও অনেক জিনিস আছে কথা বলার জন্য।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে