আবু মহম্মদ অল বেঙ্গলিকে বাংলায় আইএসের কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এই বার্তার সঙ্গে ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির ছবি যুক্ত একটি পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
ফের জঙ্গি সংগঠন আইএস বাংলাদেশ ও ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে আইএস সমর্থিত ওয়েবসাইট আত-তামকীনে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি তিন ভাষায় লেখা ওই বার্তায় আইএস এর কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনার জন্য ‘আমির’এর নাম ঘোষণা করা হয়।
সেখানে বলা হয়েছে, আবু মহম্মদ অল বেঙ্গলিকে বাংলায় আইএসের কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। এই বার্তার সঙ্গে ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির ছবি যুক্ত একটি পোস্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আইএসের ওই পোস্টারে বলা হয়েছে, ওহে বাংলা ও হিন্দের তাগুত, কাফির ও তাদের নিকৃষ্ট সহযোগীরা! যদি কেউ মনে কর বাংলা ও ভারতে খিলাফাহর সৈন্যদের দমিয়ে রাখবে, তাহলে তারা ভালো করে শুনে রাখো, তারা কখনই চুপ করে থাকবে না। প্রতিশোধের ইচ্ছা কখনোই হাল্কা হয়ে যায় না। তোমাদের ব্যাপারে প্রতিশোধের ভাবনা কখনোই শেষ হবার নয়।’
এভাবেই ওই ওয়েবসাইটে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, পোস্টারে আরও লেখা রয়েছে, ‘তোমরা কি এমনটা কখনো ভাবো যে, তোমাদের ওপর মুজাহিদদের ক্ষোভ হঠাৎ বিপর্যয় হয়ে নেমে আসবে? তাহলে সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করো …।’
পোস্টারে নিচে ইংরেজিতে লেখা, ‘Coming Soon Insha’Allah।’
বিশ্লেষকদের মতে, আইএস প্রধান আবু বকর অল বাগদাদি অনলাইনে আসার দুদিন পরেই এই হুমকি যথেষ্ট অর্থ বহন করে। বাগদাদি শ্রীলংকায় হামলাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ট্রাফিক ছাউনিতে ককটেল বিস্ফোরণে তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সেদিন মধ্যরাতে আইএসের কর্মকাণ্ড নজরদারি করে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স জানায়, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। হোলি আর্টিজান হামলার পর দুই বছরের মধ্যে আইএস আবার ঢাকায় হামলা চালালো বলে সংস্থাটি জানায়।
এদিকে মঙ্গলবার বোমা হামলা চালিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবর ডাকযোগে পাঠানো চিঠিতে এ হুমকি দেয়া হয়।
চিঠির প্রেরক কথিত জেএমবির কর্মীর নাম হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান।
এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আইএসআইএস ভারতীয় উপমহাদেশে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।