প্রবল সাইক্লোন ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে ভারতে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। প্রায় ৮ লাখ মানুষকে উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূলবর্তী এলাকা এবং নিম্নাঞ্চল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে অবস্থান করছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মে) এটি পূর্ণ শক্তিতে উড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সাইক্লোন ফণী সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে উড়িষ্যার পুরি শহরে। সেখান থেকে প্রায় এক লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রায় ৮৫৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দিরের।
উড়িষ্যার মেটেরোলজিক্যাল সেন্টারের পরিচালক এইচ আর বিশ্বাস বলেন, উড়িষ্যার অন্তত ১১টি জেলায় আঘাত হানতে পারে ফণী। এজন্য মানুষদের ঘরের ভেতর থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলেদের অনুরোধ করা হয়েছে সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রেল যোগাযোগ ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া, প্রস্তুত আছে ৮৫০ আশয়কেন্দ্র। যেখানে ১০ লাখ দুর্গতদের আশ্রয় দেয়া যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের পর উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাতে প্রস্তুত রয়েছে কোস্টগার্ড ও অন্যান্য জরুরি উদ্ধার দল।
দক্ষিণের ভিশাকপাটাম ও চেন্নাই নৌ—ন্দরে দু’টি জাহাজে প্রস্তুত রয়েছে চিকিৎসক দল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
এদিকে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানার পর ফেণী ক্রমশ দুর্বল হয়ে আঘাত হানতে পারে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে। স্থানীয় সময় শনিবার ফেণী চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কক্সবাজারে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প। সেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী সাইক্লোন ফেণী’তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।