ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৩৭টি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, মিলনায়তনগুলোও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য খুলে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো যেকোনো মুহুর্তে ধসে যেতে পারে। কয়েকস্থানে এরইমধ্যে বেড়িবাঁধ উপচে পানি উঠতে শুরু করেছে। শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ও আনুলিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাসের গতিবেগও বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশ্রয়গ্রহনকারীদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ১২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে। পাশাপাশি মোট ১১৬ টি মেডিকেল টিম ও সিপিপির চার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সাথে জনপ্রতিনিধিদের কর্মী বাহিনী, যুব কেন্দ্রের সদস্যরা কাজ করছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দূর্যোগ মোকাবেলায় পুলিশও মাঠে রয়েছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কিভাবে সবচেয়ে ক্ষতি কমানো যেতে পারে সে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তারা। ফায়ার ব্রিগেড, কোষ্টগার্ড, আনসার সদস্যরাও দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন। তাছাড়া জেলার সব উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে ও লাল পতাকা তুলে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করার কাজ চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক, পুরিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এবং সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম।