ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ফনির তাণ্ডব শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফনি পূর্বাভাসের চেয়ে ৫-৬ ঘণ্টা আগেই ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরি উপকূলে আঘাত হেনেছে। বিকালে ওড়িশায় আঘাত হানার পূর্বাভাস দেয়া হলেও তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে প্রলয়ণকারী ঘূর্ণিঝড়টি।

স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টার দিকে ২১০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানে ফনি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওডিশায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে পারে।

ফনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ধীরে ধীরে তা দুর্বল হবে। ওড়িশ্যা থেকে ‘ফণী’স্থলভাগের ওপর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোবে।

দানবীয় রূপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণী বঙ্গোপসাগরে গত ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে এই ঝড় আঘাত হানবে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ভারতে আঘাত হানার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝড়টি বাংলাদেশে হানার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভারতের ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে দেশটির পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি।

সাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় নিচু এলাকায়গুলোয় স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে