আসন্ন বিশ্বকাপের ফেভারিট দল ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের অভিষিক্ত তরুণ পেসার জশ লিটল। লক্ষ্যটা ছোট থাকায় বেঁচে গেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। বেন ফোকস ও টম কারানের ব্যাটে তুলে নিয়েছে স্বস্তির জয়।
বৃষ্টির বাধায় শুক্রবার ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪৫ ওভারে। দা ভিলেজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে আয়ারল্যান্ড। দুই ওপেনার উপহার দেন ৫৫ রানের জুটি।
লিয়াম প্লানকেট ও কারানের ছোবলে ২২ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় আইরিশরা। পাঁচ চারে ৩৩ রান করা স্টার্লিংকে বিদায় করার পর কেভিন ও’ব্রায়েনের উইকেট তুলে নেন কারান। প্লানকেট বিদায় করেন পোর্টারফিল্ড ও লর্কান টাকারকে।
১১১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা স্বাগতিকদের দুইশ রানের কাছে নিয়ে যান অভিষিক্ত মার্ক অ্যাডাইয়ার ও জর্জ ডকরেল। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অ্যাডাইয়ার ফিরেন দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩২ রান করে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এক চারে ২৪ রান করে ফিরেন ডকরেল।
শুরু আর শেষে ছোবল দেওয়া প্লানকেট ৪ উইকেট নেন ৩৫ রানে। কারান সমান রানে নেন ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডর হয়ে অভিষেকে ৪০ রানে ১ উইকেট নেন গতিময় পেসার জফরা আর্চার।
জবাবে ১৯৯ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ১৮ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। একমাত্র ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা।
রান তাড়ায় অভিষিক্ত লিটলের দাপুটে বোলিংয়ে এলোমেলো হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬৬ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট। এর তিনটি নেন লিটল। দুই অঙ্ক ছোঁয়া দুই ওপেনারকে বিদায় করার পর শূন্য রানে মর্গ্যানকে বিদায় করেন ১৯ বছর বয়সী এই পেসার।
উইকেট শিকারে যোগ দেন টিম মারটাঘ ও বয়েড র্যানকিন। দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরে যান ব্যাটিং ভরসা জো রুট ও জো ডেনলি।
সেখান থেকে ডেভিড উইলির সঙ্গে ৩৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান ফোকস। তিন চারে ২০ রান করা উইলিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লিটল।
কারানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে ৯৮ রান তুলে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন ম্যাচ সেরা ফোকস। ৭৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পেস বোলিং অলরাউন্ডার কারান পাঁচ চারে করেন ৪৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৪৩.১ ওভারে ১৯৮ (পোর্টাফিল্ড ১৭, স্টার্লিং ৩৩, বালবার্নি ২৯, টাকার ৭, ও’ব্রায়েন ৪, উইলসন ৮, ডকরেল ২৪, অ্যাডাইয়ার ৩২, মারটাঘ ১২, লিটল ৯, র্যানকিন ৫*; উইলি ০/২৬, আর্চার ১/৪০, কারান ৩/৩৫, প্লানকেট ৪/৩৫, রশিদ ১/২৭, ডেনলি ১/২৪)
ইংল্যান্ড: ৪২ ওভারে ১৯৯/৬ (ভিন্স ১৮, মালান ২৪, রুট ৭, মর্গ্যান ০, ডেনলি ৮, ফোকস ৬১*, উইলি ২০, কারান ৪৭*; মারটাঘ ১/২৯, অ্যাডাইয়ার ০/৪৮, লিটল ৪/৪৫, র্যানকিন ১/৩৮, ও’ব্রায়েন ০/৭, ডকরেল ০/২৭)
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: বেন ফোকস