শুক্রবার দিবাগত মাঝরাত থেকে খুলনার কয়রাসহ উপকূলীয় উপজেলায় প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি আর বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ রয়েছে।
ঘাটাখালীতে অবস্থানরত কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপকূলীয় কয়রা অঞ্চলে প্রচণ্ড ঝড় বইতে শুরু করে। প্রবল বাতাসে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাননি তারা দিক বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদের পানি ঝড়ের প্রভাবে অনেক দ্রুত আছড়ে পড়ছে। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীতে যে কয়টি জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এর মধ্যে কয়রা একটি।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কয়রার বাসিন্দা আবু সাঈদ খান বলেন, প্রবল বেগে ঝড় বইছে। সবাই আতঙ্কিত। ওয়াপদা রাস্তার কানায় কানায় জোয়ারের পানি উঠে গেছে। যেকোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে নিম্নাঞ্চল।
খুলনার দাকোপ ও পাইকগাছায় ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। এছাড়া রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীতে দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্র কাণায় কাণায় পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকেই জায়গা পাচ্ছে না আশ্রয়কেন্দ্রে। কেউ কেউ বৃষ্টির মধ্যে দুই-তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে অন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। অনেকে আবার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের পাকা ভবনেও আশ্রয় নিয়েছেন।