আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগাম তথ্য পাওয়ার কারণেই ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা কমিয়ে আনা গেছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগাম তথ্য
হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎপেক্ষণ করা হয়েছিল। ফণী ২০০০ কিলোমিটার দূরে থাকতেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগাম তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, তবে ফণী ওড়িশায় যে মাত্রায় আঘাত করেছে সেটি দুর্বল হয়ে ভয়াবহতা কমে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করছে। এ কারণেও মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল, সেটা কেটে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে যেসব পরিবারের যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ওই পরিবারগুলোর মধ্যে যেন কোনো হতাশা কাজ না করে।
তিনি বলেন, ফণীর যে মাত্রায় আঘাত হানার ও ক্ষয়ক্ষতির যে আশঙ্কা ছিল, সেটি হয়নি। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এখন দলের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য নেওয়া হচ্ছে। ফণীর প্রভাব কমে গেলে আওয়ামী লীগের টিম যাবে।
১৫ জনের প্রাণহানি
‘সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে হানিফ বলেন, সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে সবাই জানে। এবার যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল ইতিহাসে এর আগে এমন কোনো রেকর্ড নেই। আর যে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ জনই মারা গেছেন বজ্রপাতে। এ প্রাকৃতিক আঘাত কীভাবে ঠেকানো সম্ভব?
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. দীপু মণি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ডা. রোকেয়া সুলতানা, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।