ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মাদক সন্ত্রাসের চেয়েও ভয়াবহ, এটি একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে। দেশের ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে আমাদেরকে মেধাশূন্য করছে। মাদক নামক ভয়াবহ ক্যান্সার থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে।
কোনো পুলিশ সদস্য এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা ৬ নং সেক্টরে সিটি কর্পোরেশন কমিউনিটি সেন্টারে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক বন্ধ করতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। ঢাকা শহরে কোনো মাদকের আখড়া থাকলে পুলিশকে জানান, ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সফল
তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের সাফল্য সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময় আর এর কৃতিত্ব দেশবাসীর।
ইভটিজিং, মাদক ও সন্ত্রাসী সম্পর্কে তিনি বলেন, পুলিশ ঢাকা শহরে হাজার হাজার উঠান বৈঠক করে ইভটিজিং, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করেছে। একের পর এক জঙ্গি আস্তানা খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজদের সম্পর্কে কমিশনার বলেন, বাসাবাড়ি করার সময় কেউ চাঁদা চাইলেই তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে আর এ তথ্য ভান্ডারের নাম দেয়া হয়েছে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। নাগরিকদের এ তথ্য সংগ্রহের কারণে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে।
- আরও পড়ুন >> ঈদে সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন ৯ দিনের ছুটি!
পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর যাতে করে মানুষ নিরাপদে পালন ও উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উত্তরা জোনের উপপুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী আফসার উদ্দিন খান।