দুর্বৃত্ত নেতৃত্বের কারণেই বিএনপি ও বিশ দলীয় জোটে ভাঙ্গন ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেন, ‘জনগণের দল হতে হলে বিএনপির কর্মপন্থা পরিবর্তন করতে হবে। আর সেটা করতে হলে তাদেরকে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয়ভাবে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার আরও মূল্যায়িত হবার প্রয়োজন আছে বলেও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি সব থেকে বড়ো হুমকি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলটিকে দুর্বৃত্তায়নের চক্র থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসতে হবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বিএনপি গঠন করেন জিয়াউর রহমান। সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের নিয়ে সেই দলের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্বৃত্ত তারেক রহমান। এই দুর্বৃত্তদের দল বিএনপি গণতন্ত্রের বড় শত্রু।’
তিনি বলেন, ‘২০ দলীয় জোটে ভাঙ্গনের শুরু দেখতে পেলাম। এখন ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে চলছে নানা ধরনের কথাবার্তা। ঐক্যফ্রন্টে এখন আর ঐক্য নাই ধীরে ধীরে অনেকেই ঐক্য ছেড়ে দেওয়া শুরু করেছে।’
নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল হয়ে উঠুক এটাই আমরা চাই। আর সেটা করতে হলে বিএনপিকে অবশ্যই নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। এটা ছাড়া তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে বিএনপির দুর্নীতি, তারেক রহমানের দুর্নীতি, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সত্য কথা উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেছেন এই বক্তব্য নাকি গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
‘কিন্তু আসল কথা হলো গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশে বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। কারণ তারা গণতন্ত্রকে সবসময় বাধাগ্রস্ত করেছে। তাদের জন্মটাই অগণতান্ত্রিকভাবে হয়েছে।’
রাজনীতির জন্য বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন খুব ক্ষতিকর। ক্ষতিকর এই প্রথা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চালু করেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আর এর ষোলকলা পূর্ণ করেছেন এরশাদ।’
‘বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন যে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল তার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে তারেক রহমান। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত দুর্বৃত্ত যার নেতৃত্বে হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবন পরিচালিত হতো। তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বানিয়ে বিএনপি দুর্বৃত্ত দলে পরিণত হয়েছে।’
আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু উপস্থিত ছিলেন।