বুধবার রাতে ইতিহাস রচনা করল টটেনহ্যাম। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে আয়াক্সকে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে উঠল ইংলিশ ক্লাবটি।
আর এ ইতিহাস নিজ হাতে লিখেছেন টটেনহ্যামের লুকাস মোউরা। দলের পক্ষ থেকে দেয়া ৩টি গোলই এসেছে তার সুনিপুণ ছোঁয়ায়।
আগামী ১ জুন শিরোপা জয়ের মহারণে মোহামেদ সালাহর লিভারপুলের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম।
বুধবার রাতে আমস্টারডামে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও মোউরার হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে টটেনহ্যাম।
এদিন অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ফাইনালে উঠেছে টটেনহ্যাম। ঘরের মাঠের প্রথম লেগ ১-০ গোলে হেরেছিল স্পাররা, ফিরতি লেগ ৩-২ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয় ৩-৩।
সে ক্ষেত্রে আয়াক্সের মাঠে বেশি গোল দেয়ার সুবিধা নিয়ে টটেনহ্যাম চলে যায় ফাইনালে।
এদিন ম্যাচ শুরু হয়ে ৫ মিনিট যেতে না যেতেই লিড নেয় আয়াক্স। মাথিস ডি লিটের পা থেকে বল জড়ায় টটেনহ্যামের জালে।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে হাকিম জিয়েখ আঘাত হানেন টটেনহ্যাম শিবিরে। ফল ২-০ তে এগিয়ে যায় আয়াক্স।
এবার ইউরোপিয়ান ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখানো আয়াক্স নতুন শক্তি হয়ে ধরা দিয়েছে।
সে হিসাবে সবাই ধরেই নিয়েছিল ফাইনালে আয়াক্সকেই পাবে লিভারপুল।
আয়াক্সের প্রাচীর ডিঙিয়ে ফাইনালে ওঠা কিছুটা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল টটেমহ্যামের কাছে। স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছতে টটেনহ্যামের লাগবে ৩ গোল! অথচ খেলার অর্ধেকটা ইতোমধ্যে শেষ।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৪ মিনিটের এক ঝড়ে কঠিন সেই সমীকরণ মিলিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা জাগায় স্পার্স।
৫৫ মিনিটে প্রথমবার আয়াক্সের রক্ষণভাগকে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার লুকাস মোউরা। ব্যবধান গিয়ে দাঁড়ায় ২-১ এ। প্রথম গোলের মাত্র ৩ মিনিট পরেই মোউরা দারুণ এক শটে সমতায় ফেরান সফরকারীদের।
স্কোরলাইন ২-২ থাকলেও দুই লেগের হিসাবে তখনও ফাইনালের পথে এগিয়ে আয়াক্স।
আর কোনো গোল না হওয়ায় ফল অসমাপ্ত রেখে নির্ধারিত সময় শেষ করে দুদল। খেলা গড়ায় ৬ মিনিটের ইনজুরি টাইমে। আর ইনজুরি টাইমের শেষ দিকেই ইতিহাসের পাতায় দাগ কাটে টটেনহ্যাম।
নিজের জোড়া গোলের পর একেবারে শেষ মুহূর্তে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে মোউরা হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।
দলকে এনে দেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের স্বাদ।