দুই দলেরই শিরোপা সংখ্যা সমান ৩টি করে। এমন হাতছানি মাথায় রেখে খেলতে নেমে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। চতুর্থ শিরোপায় হাত রাখতে চেন্নাইয়ের করতে হবে ১৫০ রান।
অথচ ব্যাটিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মুম্বাই। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডি কক মিলে মাত্র ২৮ বলেই যোগ করে ফেলেছিলেন ৪৫ রান। এ সময়ে ১টি চারের বিপরীতে ৫টি ছক্কা হাঁকান এ দুজন।
অতিরিক্ত উত্তেজনা সামাল দিতে পারেননি ডি কক। তাই তো পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে, পরের বলেও চেষ্টা করেন বড় শটের।
কিন্তু ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে তা চলে যায় উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভসে। থেমে যায় ডি ককের ১৭ বলে ৪ ছয়ের মারে খেলা ২৯ রানের ইনিংসটি।
ঠিক পরের ওভারেই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন দীপক চাহার। আউট হওয়ার আগে রোহিত করেন ১৪ বলে ১৫ রান। হুট করেই থেমে যায় মুম্বাইয়ের রানের গতি।
দশম ওভারে আসা ১২ রানের কল্যাণে ২ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে ইনিংসের মাঝপথ অতিক্রম করে তারা।
রোহিত-ডি কক ফেরার পর ইশান কিশান এবং সুর্যকুমার যাদভ মিলে চেষ্টা করেন পরিস্থিতি সামাল দেবার। কিন্তু ১২তম ওভারে ইমরান তাহির ভেঙে দেন জুটি। সুর্যকুমার ফেরেন ১৭ বলে ১৫ রান করে। পরের ওভারে ফিরে যান ৭ বলে ৭ রান করা ক্রুনাল পান্ডিয়াও।
তরুণ ইশান কিশানকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন কাইরন পোলার্ড। কিন্তু পোলার্ড আসার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকেননি ইশান, ১৫তম ওভারে আউট হন ২৫ বলে ২৩ রান করে।
সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ২২ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন হার্দিক এবং কাইরন পোলার্ড। ১৮ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিলো ৫ উইকেটে ১৩৬।
সেখান থেকে অন্তত ১৬০ রানের সংগ্রহের আশা করছিল মুম্বাই। কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলেই আউট হয়ে যান ১০ বলে ১৬ রান করে।
সে ওভারের পরের চার বলে কোনো রান দেননি দীপক চাহার, সঙ্গে নিয়ে নেন তারই সহোদর রাহুল চাহারের উইকেট। শেষ ওভার করতে আসেন ডোয়াইন ব্রাভো। প্রথম বলে নিশ্চিত সিঙ্গেল নেননি পোলার্ড। পরে ডট দেন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বল।
শেষপর্যন্ত শেষের তিন বলে ৯ রান নিয়ে দলীয় সংগ্রহটাকে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে নিয়ে ঠেকান পোলার্ড। তিনি অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৩টি করে চার-ছক্কা মেরে ৪১ রান করে।
চেন্নাইয়ের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন দীপক চাহার। এছাড়া শার্দুল ঠাকুর ও ইমরান তাহির নেন ২টি করে উইকেট।