‘খাদ্যে ভেজাল রোধে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান’

ডেস্ক রিপোর্ট

খাদ্যে ভেজাল
ফাইল ছবি

“খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে একযোগে, এক হয়ে কাজ করে এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে।”

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যে ভেজাল রোধে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হবে বলে জানিয়েছেন।

রমজান উপলক্ষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আজ রোববার সচিবালয়ের সামনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সুসজ্জিত মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীতে প্রচার-প্রচারণার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে প্রচলিত আইনে শাস্তির যে বিধান রয়েছে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হবে। দরকার হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, খাবারে যারা ভেজাল দেয় তারা সমাজের শত্রু, মানবতার শত্রু। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। শুধু রমজান মাসেই নয়, আমরা চাই, ১২ মাসই জনগণ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করবে।

ইদানিং নিরাপদ খাদ্য আইন সংশোধনের দাবি ওঠেছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এইটুকু বলতে চাই, আইনটা প্রথম হয়েছে। আমরা প্রথমেই যদি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড দিতাম, আপানারা জানেন, আমরা সমালোচনা বেশি করতে পারি, আমরা ভালো জিনিস কম গ্রহণ করতে পারি। আইনটা পাস হয়েছে অর্থাৎ বাচ্চাটার জন্ম হয়েছে। সংযোজন-বিয়োজন অনেক কিছুই এখন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে রমজান মাসে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। খাদ্যে ভোজাল রোধে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি করপোরেশনের মোবাইল কোর্ট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবও কাজ করছে। আমার মনে হয়, ৩০টি টিম কাজ করছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে আরো সচেতনতা দরকার। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে একযোগে, এক হয়ে কাজ করে এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যদি ভেজালের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা ও গণআন্দোলন গড়ে তুলি তবে ৫ বছর লাগবে না, জনগণের ভয় ওদের মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে বড় ভয়। এটা যদি আমরা গড়ে তুলতে পারি তবে আইন সংশোধনের প্রয়োজন হবে না।

সাধন চন্দ্র বলেন, মানুষকে ভেজালের বিষয়ে সচেতন করতে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা করছি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমনকি মসজিদের ইমাম সাহেবদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আইন উইং ছিল না। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা সেই উইং চালু করেছি। আমরা সচেতন আছি।

তিনি বলেন, ভেজাল প্রতিরোধের জন্য যদি আমরা মনের ইচ্ছা পোষণ করি তবে জাতি বেঁচে যাবে, আমরা বেঁচে যাব। আমরা সুন্দর সমাজ ও নির্ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুযুল হক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে আজাদ অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে