মালয়েশিয়া সরকার বন্ধ শ্রমবাজার খুলতে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী তান কুলাসেগারান বিষয়টি খুব শিগগির মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী কুলাসেগারনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
পরে তিনি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজী মুহিউদ্দিন বিন হাজি মোহা ইয়াসিনের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এ সময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে চলতি মে মাসের শেষের দিকে দুই দেশের মধ্যে আরও একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা আনতে এই যৌথ গ্রুপ করণীয় ঠিক করবে। ওই বৈঠকের পর বাজার খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
এ ছাড়া আজকের বৈঠকে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়রানি ও বঞ্চনা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিমন্ত্রী অনুরোধ করেন।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং উপসচিব আবুল হোসেনসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার প্রতিমন্ত্রী সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার স্ত্রী নাসরিন আহমদ চিকিৎসাধীন আছেন। প্রতিমন্ত্রী সেখানেই ছিলেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ মে পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী মালয়েশিয়াতে থাকবেন। বুধবার তিনি সারাওয়াক প্রদেশে সফর করবেন। ১৬ মে তিনি প্রদেশটির গভর্নরের সঙ্গে দেখা করবেন।
দেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হতো। এই প্রক্রিয়ায় নানামুখী অনিয়মের অভিযোগে মালয়েশিয়া সরকার নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।
বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে সাত লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন কর্মী কাজ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। আগের বছর এটি ছিল ১০ লাখ আট হাজার ৫২৫ জন। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) জনশক্তি রপ্তানি হয়েছিল দুই লাখ চার হাজার ২০১ জন। এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৯ জনে।
এদিকে অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত গত বছর মালয়েশিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে নতুন করে আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া।
গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৬৫ জন। আর এ বছর ওই সময়ে গেছে ৫০ জনের কম।