আইন ভঙ্গ করলে কোন কর্মকর্তাকে ছাড় দেয়া হবে না : সিইসি

নির্বাচন ডেস্ক

কে এম নুরুল হুদা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইটিআই ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত পুলিশ সুপার (এসপি), রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ কেউ নির্বাচনী আইন পরিপন্থী কোনো কাজ করলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সিইসি বলেন, ‘অন্যায় করলে, হতে পারে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে রেহাই পাবে না।’

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, ‘হতে পারেন তারা পুলিশ সুপার, কিংবা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা যে কেউ। তবে তারা কোনো ধরনের অন্যায় করলে, নির্বাচনী আচরণ-পরিপন্থী কাজ করলে প্রত্যেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোনোরকম ছাড় দেবে না। ছাড় দিইনি, দিতে চাই না। সে কথাটা মনে রাখতে হবে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘কোথাও কোথাও অতি উৎসাহী কাজ হয়ে থাকে। যেমন- গত নির্বাচনে এক জায়গায় এক হুজুর… হুজুরদের ওপরে তো আমাদের রোজা-রমজান মাস আসলে আস্থা বেড়ে যায়। কিন্তু তাদেরকেই দেখি, মাদরাসার প্রিন্সিপল, তিনি নিজে গিয়ে সহকর্মীদের নিয়ে সিল দিয়ে বাক্সে ব্যালট ঢুকানোর চেষ্টা করেছেন। এই যে বিষয়গুলো, অবক্ষয়গুলো প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় আপনাদের বলতে হবে।’

দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের উপর সিইসি’র অসন্তোষ প্রকাশ

দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘এগুলো কেমন ধরনের আচরণ, যেখানে আপনাদের ওপরে একটা নির্বাচনের সমস্ত দায়িত্ব অর্পিত থাকে, সেখানে রাতে গিয়ে আপনারা প্রিজাইডিং অফিসাররা, যাদেরকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়োজিত করা হয়, তারা যদি এই কাজ করেন তাহলে কীভাবে হবে? তিনি আরও বলেন, যাদেরকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা আইনের সম্মুখীন হবেন, তারা শাস্তি অবশ্যই পাবেন।’

সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পবিত্র দায়িত্ব আপনারা পালন করতে যাচ্ছেন। আমি আশা করি, কমিশন আশা করে, আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে। এ সময় নির্বাচনী কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন কি না তা জানতে চান সিইসি। পাশাপাশি প্রার্থীদের এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ মে, যাচাই ২৩ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে