১৩ মাসে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন

অর্থনীতি ডেস্ক

শেয়ারবাজার
ফাইল ছবি

দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের সমান্তরালে কমছে লেনদেন। মঙ্গলবারও এ ধারা অব্যাহত ছিল।  দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)  গত ১৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনেদেন হয়েছে এদিন।

মঙ্গলবার টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৫১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার, যা গতকালের চেয়ে ৫৩ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা কম। এই লেনদেন গত এক বছর ১ মাস ১৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন আজকের চেয়ে কম ছিল।

ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২২৪ কোটি টাকা। আর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২১৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২০৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিন লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান থাকলেও আধা ঘণ্টা পর বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে টানা নামতে থাকে সূচক। শেষ পর্যন্ত সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। ডিএসইতে অংশ নেওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩ শতাংশ বা ৭৬টির, কমেছে ৬৩ শতাংশ বা ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪ শতাংশ বা ৫২টির শেয়ার দর।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৯৭০ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির শেয়ার দর। দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নানা উদ্যোগের মধ্যে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে নিম্নমুখী হওয়ায় হিসাব মেলাতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এখন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। শেয়ারের দরপতন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আসলে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতিই এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে