৩৩ বছর পর বাবা-মার খোঁজ পেলেন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩৩ বছর পর বাবা-মার খোঁজ পেলেন!
ছবি : ইন্টারনেট

৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে এয়ারপোর্টে নারীদের টয়লেটে কম্বল জড়ানো অবস্থায় ১০ দিন বয়সী এক শিশুকে খুঁজে পেয়েছিল এয়ারেপোর্ট কর্তৃপক্ষ। বাবা-মায়ের খোঁজ না পাওয়ায় সেদিন শিশুটির জায়গা হয়েছিল একটি শিশু লালনপালন কেন্দ্রে।

পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে শিশুটিকে দত্তক নেয় একটি পরিবার। তিন বোনের আদরের ভাই হয়ে সেই পরিবারেই বড় হয় শিশুটি।

universel cardiac hospital

ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৬ সালে ইংল্যাণ্ডের গ্যাটউইক এয়ারপোর্ট এলাকায়। সেদিনের সেই শিশুর বয়স এখন ৩৩ বছর। নাম স্টিভ হাইডেস।

বড় হয়ে নিজের সম্পর্কে জানার পর হাইডেস গত ১৫ বছর ধরে তার জন্ম দানকারী বাবা-মাকে খুঁজে ফিরছিলেন। এজন্য পত্রিকায় প্রতিবেদন এবং তথ্যচিত্রের মাধ্যমে অনেক চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি।

অবশেষে জেনোলজিস্টদের করা ডিএনএ পরীক্ষায় সম্প্রতি নিজের বাবা-মায়ের খোঁজ পেলেন তিনি।

এ ঘটনার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে মিস্টার হাইডেস লিখেছেন, ১৫ বছর চেষ্টার পর আমি আমার বাবা-মাকে খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমার মা বেঁচে নেই।এ কারণে কেন আমাকে এয়াপোর্টের টয়লেটে ফেলে গেছিলেন তা জানতে পারিনি।

তিনি আরও লিখেছেন, আমি আমার বাবাকে খুঁজে পেয়েছি। দুই পক্ষেই আমার ভাইবোন আছে। কিন্তু তারা কেউ আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু জানে না।

মিস্টার হাইডেস বলেন, আমার জন্ম দানকারী বাবা-মাকে খুঁজতে জেনিওলোজিস্টরা অনেক বছর ধরেই চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তারা সফলতা পেয়েছেন। এজন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন , প্রায় প্রতিদিনই অনেক মানুষ ডিএনএ টেস্ট করতে আসে। আমি আশা করছি আমার গল্প তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং অন্য শিশুদের এভাবে পরিত্যক্ত হওয়া প্রতিরোধ করবে।

জানা গেছে, হাইডেসকে যখন পাওয়া যায় তখন তার সঙ্গে একটা টেডি বিয়ারও ছিল। সেটা তিনি তার সঙ্গেই রেখেছেন এতদিন।

হাইডেস জানান, নিজের বাবা-মায়ের প্রতি তার কোনো রাগ নেই। পালক বাবা-মা ও বোনদের সঙ্গে তার শৈশব আনন্দেই কেটেছে। তবে তিনি তার জন্মের ইতিহাস জানতে আগ্রহী ছিলেন এবং সেটা তার দুই ছেলেমেয়েকেও জানাতে চেয়েছিলেন।

সূত্র : স্কাই নিউজ

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে