বাজারে নিত্য পণ্যের দাম কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকার বাজারে সবজি, পেঁয়াজ, মুরগি, ছোলা ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বড় বাজারে চিনির দামও আগের চেয়ে কম। গরুর মাংসের বাজারে ইচ্ছামতো দাম হাঁকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

সব মিলিয়ে বাজারে কেনাকাটার চাপ কিছুটা কমেছে। অবশ্য রোজার শুরুতেই যাঁরা মাসিক বাজার করে নিয়েছিলেন, তাঁরা এর সুফল পাচ্ছেন না।

universel cardiac hospital

রোজার শুরুতে সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছিল লম্বা বেগুনের। রোজার প্রথম কয়েক দিন ঢাকার বাজারে সেরা মানের লম্বা বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। সাধারণ বেগুন পাওয়া যেত ৭০-৮০ টাকায়। এখন বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

এ ছাড়া বেশির ভাগ সবজি এখন কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যেটা এত দিন ৫০-৮০ টাকা ছিল। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ বেড়েছে।

পাশাপাশি বাজারে চাহিদাও রোজার শুরুর দিকের মতো নেই। ফলে দাম কমতি।বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি, ফার্মের লাল ডিমের ডজন ৯০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ এখন ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

যেটা রোজার শুরুতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ১৬০ টাকার ব্রয়লার মুরগি নেমেছে ১৪৫-১৫০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস বেশির ভাগ জায়গায় ৫২৫ টাকা দরেই বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ফার্মের লাল ডিমের ডজনপ্রতি দর ৯০ টাকায় নেমেছে।

কারওয়ান বাজারের মুদিদোকানি জাকির হোসেন বলেন, এখন তাঁরা প্রতি বস্তা চিনি ২ হাজার ৪২০ টাকায় কিনতে পারছেন। যেটা রোজা শুরুর আগের তুলনায় প্রায় ১৫০ টাকা কম। ফলে খুচরা দোকানে চিনির দরও ৫২-৫৫ টাকায় নেমেছে।

মাছের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সেটা এখনো চড়া। রোজার শুরুতে মানুষ বাজারে মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এখন সেটা নেই। ফলে ইচ্ছামতো দাম হাঁকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। যেমন যে চিংড়ি রোজা শুরুর আগের দিন কেজিপ্রতি ৭০০ টাকার এক টাকাও কমে দিতে রাজি ছিলেন না ব্যবসায়ীরা, সেটা এখন দর-কষাকষি করে ৬৫০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

কাজীপাড়া বাজারে স্থানীয় বাসিন্দা আলম হোসেন কেনাকাটা করছিলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাড়তি চাহিদার কারণে যেসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল, সেটা এখন কিছুটা কম দেখছি।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে